Header Ads Widget

Ticker

6/recent/ticker-posts

অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।

মূলকথা ঃঅন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।

ভাবসম্প্রসারণঃ  ঈশ্বরকে এ পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা, রক্ষা ও পালনকর্তা হিসাবে বিশ্বাস করলে আমাদের আরও কতকগুলি নীতি জীবনে অনুসরণ করে চলতে হয়। ঈশ্বরে বিশ্বাস কোন অমূর্ত আদর্শ নয়। জীবনে কতকগুলি আচার-আচরণ, আদর্শ মেনে চলা এবং অন্যকেও তা করতে সহায়তা করা এই বিশ্বাসেরই ফলিত রূপায়ণ। আমাদের দেশের সাধকেরা চিরকাল ঈশ্বরকে ন্যায় এবং সমদৃষ্টির উৎস বলে উপলব্ধি করে এসেছেন। ঈশ্বর এই ন্যায় এবং সত্যরক্ষার ভার দিয়ে পাঠিয়েছেন তারই সৃষ্ট মানুষকে এই পৃথিবীতে। ন্যায়াধীশ ও সত্যস্বরূপ বিশ্বস্রষ্টার প্রতিভূরূপে মানুষ এ সংসারে তার আবির্ভাবের যাথার্থ্য প্রতিপাদন করতে পারে। ন্যায় কথাটির অনুষঙ্গ হিসাবে অন্যায় কথাটি স্বাভাবিকভাবেই স্মরণে আসে। কিন্তু ন্যায়নিষ্ঠ মানুষ নিজে যেমন অন্যায় করবে না, তেমনি অপরের কৃত অন্যায়কেও নীরবে সহ্য করবে । অন্যায়কারীকে ক্ষমা করা, তাকে প্রশ্রয় দেওয়া অনেক সময় পরােক্ষে অন্যায়কে সমর্থন করারই নামান্তর হয়ে দাড়ায়। আমি নিজে ন্যায়-নীতি অনুসরণ করে চলবাে, কিন্তু অন্যের যে কোন অন্যায়কে মুখ বুজে সহ্য করে যাবাে বা তার সম্পর্কে উদাসীন থাকবােএই মনােভাব চরম ক্লীবত্বের লক্ষণ। এরকম ক্ষেত্রে অন্যায়কারী এবং অন্যায়ের প্রশ্রয়দাতা উভয়েই সমান অপরাধী। ন্যায়াধীশ ঈশ্বর অপরাধীর প্রতি শুধু বিরূপ হবেন না, অপরাধ নীরবে সহ্য করে যে অপরাধ-প্রবণতার প্রসারে সহায়তা করছে, তার উপরও সমান বিমুখ হবেন। আমরা অনেক সময় ভাবি, অন্যে কী করছে, না করছে, তা আমাদের দেখার দরকার নেই। আমরা নিজেরা ঠিক থাকলেই হল। এই ধরনের মানসিকতা শুধু উদাসীনতা নয়, ঈশ্বরের ন্যায়াদর্শের প্রতি


নিদারুণ অবহেলা।

Post a Comment

0 Comments