প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের জলসেচ ব্যবস্থা
Ans:
প্রাচীন ভারতে দেখা গেছে যে, রাজারা দেশের কৃষির উন্নতির দিকে বিশেষ নজর দিতেন। কৃষিকাজের উন্নতির জন্য জলসেচ ব্যবস্থা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
প্রাচীন ভারতে জলসেচ প্রকল্পকে বলা হত সেতু। সেতু সাধারণত দু-রকমের হত। যথা—প্রাকৃতিক জলসেচ পদ্ধতি ও কৃত্রিম জলসেচ পদ্ধতি। সেতুর জল ব্যবহার করার জন্য কৃষকদের কর দিতে হত। সেচকার্যে ব্যবহার করা হত একধরনের যন্ত্র। যন্ত্রটি ছিল চাকার মতো। তার গায়ে লাগানো থাকত ঘটি। যখন চাকা ঘুরত তখন ঘটিগুলি জলে পূর্ণ হয়ে যেত এবং সেই জল ঘোরার সময় জমিতে পড়ত। এইভাবে বারংবার চাকা ঘুরত আর ঘটিগুলি থেকে জল জমিতে পড়ত। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য গুজরাটের কাথিয়াওয়াড়ে একটি হ্রদ বানিয়েছিলেন। তার নাম সুদর্শন হ্রদ। সম্রাট অশোক এই সেচ প্রকল্পটিতে কয়েকটি সেচ খাল যুক্ত করেছিলেন। ১৫০ খ্রিস্টাব্দে এই সেচখালের সংস্কার করেন শকরাজ রুদ্রদামন। এর অনেক পর গুপ্তরাজা স্কন্দগুপ্ত এই হ্রদটি সংস্কার করেন। সেই সময় কৃপ বা জলাশয় নির্মাণ ভালো কাজ বলে ধরা হত।
0 Comments