সংক্ষেপে হ্রদের শ্রেণীবিভাগ কর।
উত্তর : সাধারণতঃ দুভাবে হ্রদের শ্রেণীবিভাগ করা যায়, যথা :
[ক]স্বাদ অনুসারে হ্রদের শ্রেণীবিভাগ এবং [খ] উৎপত্তি অনুসারে হ্রদের শ্রেণীবিভাগ। [ক] স্বাদ অনুসারে হ্রদের শ্রেণীবিভাগ: পৃথিবীর যেসব হ্রদের জল পান করা যায় তাদের মিঠে বা স্বাদু বা সুপেয় জলের হ্রদবলা হয়, যেমন: কাশ্মীরের ডাল ও উলার হ্রদ। আর, যে সব হ্রদের জল লবণাক্ত এবং পানের অযোগ্য তাদের লবণাক্ত জলের হ্রদ বলা হয়, যেমন চিক্কা হ্রদ।
[খ] উৎপত্তি অনুসারে হ্রদের শ্রেণীবিভাগ: উৎপত্তি অনুসারে হ্রদকে ৮-টি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়, যথা (১) ভূ-আন্দোলনের ফলে সৃষ্ট হ্রদ (উদাহরণ কাস্পিয়ান সাগর); (২) হিমবাহ সৃষ্ট হ্রদ (উদাহরণ ইটালির গার্ডা); (৩) নদী সৃষ্ট হ্রদ (তিস্তা নদী থেকে সৃষ্ট উলার হ্রদ); (৪) আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট হ্রদ (উদাহরণ : উত্তর সুমাত্রার টোবা হ্রদ): (৫) ক্ষয় কাজের ফলে সৃষ্ট হ্রদ (উদাহরণ: মরু অঞ্চলে প্লায়াহ্রদ) (৬) সঞ্চয় কাজের ফলে সৃষ্ট হ্রদ (উদাহরণ: ওড়িশার চিল্কা উপহ্রদ কেরালা উপকূলের বিভিন্ন কয়াল); (৭) উল্কা পাতের ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন হ্রদ এবং (৮) মানুষের তৈরী কৃত্রিম হ্রদ (উদাহরণ: কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর অথবা সুভাষ সরোবর)।

0 Comments